সংবাদচর্চা রিপোর্ট
২০২০ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। দেশবাসীর সুবিধার্থে সংবাদচর্চার পক্ষ থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মাহে রমজানের সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী জানিয়ে দেওয়া হলো।
ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি:
রহমতের ১০ দিন
রমজান | তারিখ | দিবস | সেহরীর
শেষ সময় |
ইফতারের
সময় |
---|---|---|---|---|
১* | ২৫ এপ্রিল | শনিবার | ৪:০৫ | ৬:২৮ |
২ | ২৬ এপ্রিল | রবিবার | ৪:০৪ | ৬:২৯ |
৩ | ২৭ এপ্রিল | সোমবার | ৪:০৩ | ৬:২৯ |
৪ | ২৮ এপ্রিল | মঙ্গলবার | ৪:০২ | ৬:২৯ |
৫ | ২৯ এপ্রিল | বুধবার | ৪:০১ | ৬:৩০ |
৬ | ৩০ এপ্রিল | বৃহস্পতিবার | ৪:০০ | ৬:৩০ |
৭ | ১ মে | শুক্রবার | ৩:৫৯ | ৬:৩১ |
৮ | ২ মে | শনিবার | ৩:৫৮ | ৬:৩১ |
৯ | ৩ মে | রবিবার | ৩:৫৭ | ৬:৩২ |
১০ | ৪ মে | সোমবার | ৩:৫৫ | ৬:৩২ |
মাগফেরাতের ১০ দিন
রমজান | তারিখ | দিবস | সেহরীর
শেষ সময় |
ইফতারের
সময় |
---|---|---|---|---|
১১ | ৫ মে | মঙ্গলবার | ৩:৫৪ | ৬:৩৩ |
১২ | ৬ মে | বুধবার | ৩:৫৩ | ৬:৩৩ |
১৩ | ৭ মে | বৃহস্পতিবার | ৩:৫২ | ৬:৩৪ |
১৪ | ৮ মে | শুক্রবার | ৩:৫১ | ৬:৩৪ |
১৫ | ৯ মে | শনিবার | ৩:৫০ | ৬:৩৫ |
১৬ | ১০ মে | রবিবার | ৩:৫০ | ৬:৩৫ |
১৭ | ১১ মে | সোমবার | ৩:৪৯ | ৬:৩৬ |
১৮ | ১২ মে | মঙ্গলবার | ৩:৪৯ | ৬:৩৬ |
১৯ | ১৩ মে | বুধবার | ৩:৪৮ | ৬:৩৬ |
২০ | ১৪ মে | বৃহস্পতিবার | ৩:৪৮ | ৬:৩৭ |
নাজাতের ১০ দিন
রমজান | তারিখ | দিবস | সেহরীর
শেষ সময় |
ইফতারের
সময় |
---|---|---|---|---|
২১ | ১৫ মে | শুক্রবার | ৩:৪৭ | ৬:৩৭ |
২২ | ১৬ মে | শনিবার | ৩:৪৭ | ৬:৩৮ |
২৩ | ১৭ মে | রবিবার | ৩:৪৬ | ৬:৩৮ |
২৪ | ১৮ মে | সোমবার | ৩:৪৬ | ৬:৩৯ |
২৫ | ১৯ মে | মঙ্গলবার | ৩:৪৫ | ৬:৩৯ |
২৬ | ২০ মে | বুধবার | ৩:৪৪ | ৬:৪০ |
২৭ | ২১ মে | বৃহস্পতিবার | ৩:৪৪ | ৬:৪০ |
২৮ | ২২ মে | শুক্রবার | ৩:৪৩ | ৬:৪১ |
২৯ | ২৩ মে | শনিবার | ৩:৪৩ | ৬:৪২ |
৩০* | ২৪ মে | রবিবার | ৫:৩১ | ৬:৪২ |
* চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল
ঢাকার সময়ের থেকে বাড়াতে হবে:
জেলার নাম | সেহরি | ইফতার |
গাজীপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, পিরোজপুর, বরিশাল, ঝালকাঠী, বরগুনা | ১ মিনিট | ১ মিনিট |
ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, বাগেরহাট, জামালপুর, শেরপুর, মানিকগঞ্জ | ২ মিনিট | ২ মিনিট |
ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নড়াইল, খুলনা | ৩ মিনিট | ৩ মিনিট |
মাগুড়া, রাজবাড়ী, পাবনা | ৪ মিনিট | ৪ মিনিট |
সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, যশোর, রংপুর, ঝিনাইদহ | ৬ মিনিট | ৬ মিনিট |
নিলফামারী চুয়াডাঙ্গা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা | ৬ মিনিট | ৬ মিনিট |
রাজশাহী, বগুড়া, মেহেরপুর, লালমনির হাট | ৭ মিনিট | ৭ মিনিট |
চাপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর | ৮ মিনিট | ৮ মিনিট |
দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় | ৬ মিনিট | ১১ মিনিট |
ঢাকার সময়ের থেকে কমাতে হবে:
জেলার নাম | সেহরি | ইফতার |
নরসিংদী, নারায়নগঞ্জ, মুনশীগঞ্জ, চাঁদপুর | ১ মিনিট | ১ মিনিট |
কিশোরগঞ্জ, পটুয়াখালী, ভোলা, লক্ষ্মীপুর | ২ মিনিট | ২ মিনিট |
নেত্রকোনা, কমিল্লা, বি-বাড়িয়া | ৩ মিনিট | ৩ মিনিট |
নোয়াখালী, ফেনী, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ | ৪ মিনিট | ৪ মিনিট |
চট্টগ্রাম | ৫ মিনিট | ৫ মিনিট |
কক্সবাজার, সিলেট, মৌলভী বাজার | ৬ মিনিট | ৬ মিনিট |
খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান | ৭ মিনিট | ৭ মিনিট |
রোজার নিয়ত:
বাংলায় উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামীউল আলীম।
অর্থ: আয় আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বান শরীফ-এর ফরয রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা , সর্বজ্ঞাত।
মাসআলা: কেউ যদি ছুবহি ছাদিক্বের পূর্বে নিয়ত করতে ভুলে যায় তাহলে তাকে দ্বিপ্রহরের পূর্বে নিয়ত করতে হবে। তখন এভাবে নিয়ত করবে:
ইফতারের দোয়া:
বাংলায় উচ্চারণ: (আল্লাহুম্মা সুমতু লাকা, ওয়া তাওআক্কালতু আ‘লা রিঝক্বিকা, ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন)
অর্থ: আয় আল্লাহ পাক! আমি আপনারই সন্তুষ্টির জন্য রোযা রেখেছি এবং আপনারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার করছি।
ইফতার-এর সুন্নত আমলসমূহ:
- খুরমা বা খেজুর দ্বারা ইফতার শুরু করা সুন্নত। আমাদের নবীজি খুরমা বা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন।
- ওয়াক্ত হওয়া অর্থাৎ আযান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নত। হাদীছে কুদসী শরীফ-এ রয়েছে, আল্লাহ পাক বলেছেন: “আমার বান্দাদের মধ্যে আমার নিকট অধিকতর প্রিয় ওই ব্যক্তিরাই যারা তাড়াতাড়ি ইফতার করে অর্থাৎ সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করে।” কিন্তু সময় হয়নি এমন অবস্থায়
- দ্রুত পানাহার করলে ক্বাযা-কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হয়ে যাবে। তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- ইফতার করার পূর্বে তিনবার দুরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে।
- কোন রোযাদারকে ইফতার করানো। এটি একটি অত্যধিক ফযীলতপূর্ণ কাজ।
বিঃ দ্রঃ সকলকেই সাহরীর ও ইফতার-এর সময়ের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। যেনো কোনো অবস্থাতেই সময় কম বা বেশি না হয়। আর তাই অনেক কামেল ব্যক্তিবর্গ মনে করেন সেজন্য সাবধানতার নিমিত্তে সাহ্রী-এর সময় থেকে ৫ মিনিট কমিয়ে ও ইফতারী-এর সময় থেকে ১/২ মিনিট বাড়িয়ে সাহরী ও ইফতার করা উচিত। একটি হাদিস শরীফে আছে ইফতার ও সাহরীর ঘোষণার জন্য সাইরেন বাজানো হারাম। তবে ইফতারীর জন্য আযান দেয়া আর সাহরীর জন্য মুখে বা মাইকে ঘোষণা দেয়াই সর্বোত্তম।
রোজা ভঙ্গের কারণ সমুহ:
- ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।
- স্ত্রী সহবাস করলে ।
- কুলি করার সময় হলকের নিচে পানি চলে গেলে (অবশ্য রোজার কথা স্মরণ না থাকলে রোজা ভাঙ্গবে না)।
- ইচ্ছকৃত মুখভরে বমি করলে।
- নস্য গ্রহণ করা, নাকে বা কানে ওষধ বা তৈল প্রবেশ করালে।
- জবরদস্তি করে কেহ রোজা ভাঙ্গালে ।
- ইনজেকশান বা স্যালাইরনর মাধ্যমে দেমাগে ওষধ পৌছালে।
- কংকর পাথর বা ফলের বিচি গিলে ফেললে।
- সূর্যাস্ত হয়েছে মনে করে ইফতার করার পর দেখা গেল সুর্যাস্ত হয়নি।
- পুরা রমজান মাস রোজার নিয়ত না করলে।
- দাঁত হতে ছোলা পরিমান খাদ্য-দ্রব্য গিলে ফেললে।
- ধূমপান করা, ইচ্ছাকৃত লোবান বা আগরবাতি জ্বালায়ে ধোয়া গ্রহন করলে।
- মুখ ভর্তি বমি গিলে ফেললে ।
- রাত্রি আছে মনে করে সোবহে সাদিকের পর পানাহার করলে।
- মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে পড়ে সুবহে সাদিকের পর নিদ্রা হতে জাগরিত হওয়া এ অবস্থায় শুধু কাজা ওয়াজিব হবে।
রোজার মাকরুহগুলো:
- অনাবশ্যক কোনো জিনিস চিবানো বা চাখা
- কোনো দ্রব্য মুখে দিয়ে রাখা
- গড়গড় করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নেয়া কিন্তু পানি যদি নাক দিয়ে গলায় পৌঁছে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে
- ইচ্ছাকৃত মুখে থুথু জমা করে গলাধঃকরণ করা
- গীবত, গালা-গালি ও ঝগড়া-ফাসাদ করা। কেউ গায়ে পড়ে ঝগড়া-ফাসাদ করতে এলে বলবে, আমি রোজাদার তোমাকে প্রত্যুত্থর দিতে অক্ষম
- সাড়া দিন নাপাক অবস্থায় থাকা। এটি অত্যন্ত গুনাহের কাজ
- অস্থিরতা ও কাতরতা প্রকাশ করা
- কয়লা চিবিয়ে অথবা পাউডার, পেস্ট ও মাজন ইত্যাদি দ্বারা দাঁত পরিষ্কার করা